পবিত্র রমজানে সেহেরি ও ইফতার তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণ। ইবাদত-বন্দেগী নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় সবাইকেই। সময়মতো সেহেরি ও ইফতার তৈরি করে তারপর পরিবেশন করা চাট্টিখানি কথা নয়! যতই দক্ষ হন না কেন, আগে থেকে কিছু কাজ গুছিয়ে না রাখলে হিমশিম খেতে হবেই। যদি কিছু কাজ আগেভাগে শেষ করে রাখা যায় তবে সময় বাঁচবে বেশ কিছুটা। তাই ইফতার কিংবা সেহেরিতে তাড়াহুড়ো থেকে বাঁচতে চাইলে এই কৌশলগুলো মাথায় রাখুন-
প্রথমেই বাজারের তালিকা করে ফেলুন। পনের দিন অথবা কমপক্ষে এক সপ্তাহের মাছ, মাংস, কাঁচা বাজার একসঙ্গে কিনে রাখুন। আর চাল, ডাল, তেল, ময়দা, ছোলা, বেসন, মশলা- এ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য পুরো মাসেরটাই একসঙ্গে কিনে রাখুন। তাহলে আর যখন তখন বাজারে ছুটতে হবে না। এতে বেঁচে যাবে বেশ খানিকটা সময়।
প্রেশার কুকারে কয়েকদিনের জন্য বেশি করে ছোলা সেদ্ধ করে পরে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। কারণ প্রতিদিন ছোলা সেদ্ধ করতে গেলে নষ্ট হয় বেশ খানিকটা সময়। তাই একবারে সেদ্ধ করে নিয়ে প্রতিদিন প্রয়োজন অনুযায়ী বের করে ভুনা করে নিলেই চলবে।
ইফতারের জন্য কাবাব, চপ ইত্যাদি তৈরি করার জন্য দরকার হয় মাংসের কিমা। এই কিমা প্রতিদিন তৈরি করতে যাওয়াটাও ঝামেলার। তাই বেশি করে কিমা তৈরি করে ফ্রোজেন করে রাখতে পারেন। তবে রাখার আগে অবশ্যই প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে রাখবেন। এতে ইফতার তৈরি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
বাসায় যারা ছোট সদস্য, তাদের আমরা কাজের কাছে ঘেষতে দেই না। এতে তারা একটা সময় ঘরের কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই রোজায় তাদেরকে দিয়ে অল্পস্বল্প কাজ করাতে পারেন। নিজের ঘরটি গুছিয়ে রাখা, শরবত তৈরি করা ইত্যাদি। এতে তারা দায়িত্ব ভাগ করে নিতেও শিখবে আবার আনন্দও পাবে। মাঝখান থেকে আপনার সময়ও খানিকটা বেঁচে গেল!
সমুচা, সিঙারা, কাবাব ইত্যাদি কাঁচা অবস্থায় ফ্রোজেন করে রাখা যায়। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বের করে ভেজে নিলেই হয়। খুব ভালো হয় যদি আপনিও একই উপায় বেছে নেন। ঝটপট তৈরি হয়ে যাবে আপনার ইফতার।
সেহেরির সময় তাড়াহুড়ো করেন অনেকেই। অনেকে আবার সেহেরির আগে আগে রান্না বসান। কিন্তু এতে করে খাওয়ার সময়ে দেরি হয়ে যেতে পারে। তাই সেহেরিতে যা খাবেন তা আগে থেকেই রান্না করে রাখুন। শুধু খাওয়ার আগে গরম করে নিলেই হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন