দুলালী সুন্দরী ধানখেত দেখতে জনতার ঢল

গাইবান্ধা: দুলালী সুন্দরী ধান গাইবান্ধাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবারই প্রথম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এই ধান চাষ হয়েছে ১৮ শতক জমিতে।


এই ধান গাছের পাতা, কাণ্ড ও ধান বেগুনি রঙের। ধানের জমি দেখতে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে প্রতিদিনই আসছে উৎসুক মানুষ। বলা যায়, প্রতিদিনই এই ধানখেত দেখতে মানুষের ঢল নামে।


গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকে ধানখেতের দিকে তাকিয়ে দেখা যায় একটি ধানখেতের রঙ আলাদা ধরনের। এই ধানখেতের পাতা ও গাছ সবুজ এবং ধান সোনালি রঙের না হয়ে হয়েছে বেগুনি রঙের হয়েছে।দুলালী সুন্দরী ধানখেত


কাছে গিয়ে দেখা যায়, ধানগাছের পাতা ও কাণ্ড বেগুনি রঙের। আর ধানও ধীরে ধীরে বেগুনি রঙ ধারণ করছে। এই ধানখেত পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় দুলালী বেগমের এক প্রতিবেশী।


সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে জমিতে ধান চাষ করে বেগুনি রঙের কিছু ধান পান দুলালী বেগম। পরে সেই ধান দিয়ে তিনি বীজতলা তৈরি করেন। এই বীজতলার চারা ১৮ শতক জমিতে রোপণ করেন দুলালী। ধানের চারা বড় হওয়ার পর থেকে ধান গাছ সবুজ রঙয়ের বদলে বেগুনি রঙ ধারণ করতে শুরু করে। পরে খবর পেয়ে জমিটি পরিদর্শন করে দেখভাল করছে কৃষি বিভাগ।


জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় রেজুলেশন করে এই ধানের নামকরণ করা হয়েছে দুলালী সুন্দরী ধান। বেগুনি রঙের ধানের জমির নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক মানুষ প্রতিদিন ধানখেতটি দেখতে আসছেন।


পাশাপাশি এই ধানখেত দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষ এসে ভিড় করছেন জমিতে। উৎসুক জনতাকে সামলাতে কয়েকদিন গ্রাম পুলিশও দায়িত্ব পালন করেছে এই জমিতে। আর চার-পাঁচ দিনের মধ্যে কাটা হবে এই দুলালী সুন্দরী ধান।


কৃষক দুলালী বেগম বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে এই ধান দেখতে মানুষ এসে ভিড় করছে। নতুন জাতের ধান আমার নামে হওয়ায় আমি খুবই খুশি। আমি চাই এই জাতের ধানের চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। এই গ্রামে নতুন জাতের এই ধান হওয়ায় খুশি আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষও।


সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, এটা কোন জাতের ধান থেকে হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। তবে আমরা এই ধানের নাম দিয়েছি দুলালী সুন্দরী। বর্তমানে এই জমির ধান ৭০ শতাংশ পেকেছে। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ পাকলেই কাটা হবে। সেই সঙ্গে বীজের জন্য ধান সংগ্রহ করে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget