ইমাম বিমান, ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায আবুল হোসেন (৬৫) গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ১৭মে ভোরে আনুমানিক ৬টার সময় সদর উপজেলাধীন গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাচাবালিয়া গ্রামের পুরাতন খান বাড়ি গোড়স্থান সংলগ্ল রাস্তার উপরে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় আহত আবুল হোসেনের মেয়ে নাছরিন আক্তার রোজিনা বাদী হয়ে ঘটনার দিন সকালে ৫জনকে আসামী করে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার নম্বর ১৩।
এজাহার সূত্রে জানাযায়, নাছরিন আক্তার রোজিনার বাবার সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়ির মৃত আজিজ হাওলাদারের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (৩৫) ও তার শশুর হারুন হাওলাদারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। জমিজমা নিয়ে বিরোধের এক পর্যায় আমার বাবাকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার প্রয়াশে গত ৭মে ভোর আনুমানিক ৬টার সময় আমার দাদার পুরাতন বাড়িতে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছাইদুল ইসলাম(৩৫) পিং- মৃত আজিজ হাওলাদার, ছাইফুল ইসলাম (৩০) পিং- মৃত আজিজ হাওলাদার, হারুন হাওলাদার (৫০) পিং মৃত রশিদ হাওলাদার, মোজাম্মেল হাওলাদার(৪৫) মৃত আব্দুল আলী হাওলাদার ও ছাইদুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৫) একত্রিত হয়ে আমার বাবাকে চিরতরে শেষ করার লক্ষ্যে তার মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপ দিয়ে আমার বাবাকে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে আমি দৌড়ে গেলে আমাকেও তারা এলোপাথারি কিল ঘুসিসহ লাথি মারতে থাকে। আমি চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজর আসিয়া আমাকে এবং আমার বাবাকে উদ্ধার করে আমাদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় গাড়ী যোগে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বাবার অবস্থায় গুরুতর দেখায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে স্থানানন্তর করেন।
এ বিষয আবুল হোসেনের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, হারুন হাওলাদারের ভাই রত্তন হাওলাদারের বসত ভিটায় কেউ না থাকায় হারুন ঐ জায়গায় গোয়ালঘর এবং আমাদের বসত ঘর সংলগ্ন ১টি সৈচাগার করায় র্দূগন্ধে আমাদের পরিবারের সদস্যদের ঘরে বসবাস করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ জন্য হারুনের কাছে বহুবার বলা হলেও সে কর্নপাত করত না বরং আমি এখান থেকে কিছুই সরাবোনা, তোর যা পারিস তাই করিস। বিগত ৬ মাস আগে রত্তন তার বসত ভিটা আমার স্বামী আবুল হোসেনের কাছে বিক্রি করে। বিক্রির পরে রত্তন তার ভাইকে গোয়ালঘর ও সৈচাগার উঠিয়ে নিতে বলে। হারুন তার ভাই রত্তন ও আবুল হোসেনের কথা না শোনলে তারা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে শালীশির কথা বলে। শালিশীর কথা একই বাড়ির আজিজ হাওলাদারের ছেলে এবং হারুন হাওলাদারের জামাতা সাইদুল ইসলাম কোন শালিশী হবে না বলে তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকে। শশুরের সাথে জামাই ছাইদুল এক হয়ে আমাদের গালমন্দ করতে থাকে। ঘরের পাশে সৈচাগার থাকায় তার দূগর্ন্ধে প্রায় দিনই তাদের সাথে কথার কাটাকাটি হতো। আর এই সৈচাগার অপসারনের এবং জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার স্বামীর উপরে তারা একত্রিত হয়ে মেরে ফেলার জন্য হামলা করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন