বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ডাবইর পাথার এলাকায় ধানখেত থেকে চারজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহত পানের দোকানি শাহরুল ইসলাম সাবুর বাবা আছির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সর্বশেষ স্বামী-স্ত্রীসহ ছয়জনকে আটক করেছে বলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। আটকরা হলেন, উপজেলার কাথগাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে বেলাল হোসেন, তার স্ত্রী নাজনীন বেগম এবং তার মেয়ে নাতিশা খাতুন, আফছার আলীর ছেলে আবদুল হালিম প্রামাণিক, চন্দনপুর গ্রামের জসিমুদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও আটমূল ইউনিয়নের কুলুপাড়া গ্রামের ছেলে মোবাইল ব্যবসায়ী প্রফুল্ল সরকার লিটন সরকার।
এর আগে গত সোমবার সকালে মরদেহ চারটি উদ্ধার করা হয়। সকাল ৯টার দিকে উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের আলিয়ারহাটের উত্তরে ও গাঙ্গনই নদীর পশ্চিমে ডাবইর পাথার এলাকার একটি ধানখেতে চারজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ চারটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। সাত সদস্যের কমিটিতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল জলিলকে প্রধান করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন