সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি হচ্ছে। এর একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত কমিটি অনুমোদন পেলে কোটা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এই কমিটিই চূড়ান্ত করবে কোটা সংস্কার কিভাবে হবে?’
এর আগে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রোববার থেকে নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এ ঘোষণা দেয়।
মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, বাতিল বা সংরক্ষণের বিষয়ে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে, সেই দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। কমিটি গঠিত হলে এবং সেই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকার পরবর্তী অবস্থান সবাইকে জানিয়ে দেবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে চার থেকে পাঁচজন সদস্য থাকবেন। প্রস্তাবটি সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারে পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ৮ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই আন্দোলন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
এরপর আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন। পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে পর্যন্ত সময় দেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় শেষ হওয়ার পরও প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আগামী রোববার থেকে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন