আজকের দেশ সংবাদ:
নওগাঁর মহাদেবপুরে চলতি ইরি-বোরো ধানের মৌসুমের নতুন বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠতে এখনো প্রায় একমাস বাঁকী। আর ঠিক এই মহূর্তে পোকা-মাকড় দমনে বিখিন্ন কোম্পানির কিটনাশক (বিষ) স্প্রে করে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা । শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলা। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার মাঠের পর মাঠ সর্বত্রই বোরো ধানের ক্ষেতে ধান গাছের সবুজ পাতা ও সদ্য বের হওয়া ধানের শীষ যেন খাচ্ছে দোল সেই সাথেই উপজেলার কৃষক-কৃষাণীর মনেও দিচ্ছে আনন্দর দোলা। আর এসময় ধানের কালার রং (চকচকে) করতে ও পচামিনা ও মাজরা পোকার আক্রমন থেকে বোরো ধানের ক্ষেত রক্ষায় বিখিন্ন কোম্পানির কিটনাশক (বিষ) স্প্রে করে ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়ার অনুকুলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধে আছেন উপজেলার কৃষকরা। এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম মফিদুল ইসলাম জানান, এবারে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় সর্বমোট ২৭ হাজার ৪ শত ৬০’ হেঃ জমিতে বোরো ধান চাষ রোপন করেছেন উপজেলার কৃষকরা। অতিতের যে কোন বছরের চেয়ে এবারে কৃষকের মাঠের ধান গাছের অবস্থা খুবই ভাল। এমনকি বিগত বছর গুলোর তুলনায় চলতি বোরো মৌসুমে বিশেষ করে পচামিনা ও মাজড়া পোকার আক্রমন নেই বলেই চলে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কোন রকম দূর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে মহাদেবপুর উপজেলায় বোরো চাষ ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো জানান, কৃষকের মাঠের ধান বিভিন্ন পোকা মাকড়ের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করতে কৃষিদপ্তর হতে প্রতিনিয়ত মাঠকর্মীগন ( উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তরা) কৃষকের সাথে মাঠে বোরো ধানের ক্ষেতে গিয়ে বিভিন্ন উদেশ পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। এক কথায় সব মিলিয়ে মহাদেবপুরে এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে বলেও কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছে। তবে তথ্য সংগ্রহকালে মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম মফিদুল ইসলাম এর বক্তব্যর সত্যতা ও মিলেছে, উপজেলার ২৭ নাম্বার ধনজইল বøকে সরজমিনে বোরো ধানের ক্ষেত দেখতে গিয়ে বোরো ধান ক্ষেতের ভেতর কৃষকদের সাথে নেমে দুজন কৃষককে বর্তমান আবহাওয়ায় করনীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে দেখা গেল আরিফুজ্জামান আরিফ নামের একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে। এসময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান আরিফ জানান, আমার দায়িত্বরত এলাকায় এখন পর্যন্ত ধান গাছের অবস্থা খুবই ভাল। তবে দুদিন পূর্বে এলাকার উপড় দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো-বাতাসে সদ্য গামড়ে বসা ও ধানের শীশ বের হওয়ার সময় ঝড়টি হওয়ায় অল্পকিছু ধানের চিতা দেখা দিতে পারে জানিয়ে বলেন, আগামীতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বড় ধরনের কোন দূর্যোগ দেখা না দিলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেই আশা করছি বলেও তিনি প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন