রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের একটি ঘটনায় ৭ সেনা সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমার। সাধারণত মিয়ানমারে সেনাসদস্যদের রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডে কোনো শাস্তি হয় না। তবে এ ঘটনার ছবি প্রকাশিত হওয়ায় সেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সেনাদের শাস্তি দিয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাখাইন প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যার দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম ইনদিনে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা ১০ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের গণকবর দেওয়া হয়। ঘটনার সরেজমিন অনুসন্ধানে নেমেছিলেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। ফলে ঘটনাটি প্রকাশিত হলেও রয়টার্সের সেই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দাফতরিক গোপনীয়তা ভঙ্গের আইনে। এরপর থেকে তারা জেলেই রয়েছেন। সেই তদন্তের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত ৭ সেনাকে কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধান প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ফেইসবুক পাতায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১০ রোহিঙ্গার হত্যাতাণ্ডে সহযোগিতা ও জড়িত থাকার অভিযোগে ওই সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ সেনাকে সেনাবাহিনী থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কারাগারে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও কঠোর পরিশ্রমের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ সেনাকে বাহিনী থেকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাদের পদের অবনয়ন ঘটানো হয়েছে এবং কারাদণ্ড হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন