আজকের দেশ সংবাদ:
নওগাঁয় পুলিশের সোর্স শাহিন আলম (২৮) নামে এক যুবকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মাদ্রাসা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। শাহিন আলম গ্রামের মৃত তজু খন্দকারের ছেলে।
নওগাঁয় পুলিশের সোর্স শাহিন আলম (২৮) নামে এক যুবকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মাদ্রাসা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। শাহিন আলম গ্রামের মৃত তজু খন্দকারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহিন আলম একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত। পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করায় শাহিন এলাকায় পুলিশী প্রভাব খাটাতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মাসোয়াহারা (চাঁদা) তুলে পুলিশকে দিতেন। এ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে শাহিন আলমের দ্ব›দ্ব চলে আসছিল।
ওই গ্রামের বিষুর ছেলে শিবলু, শামছুলের ছেলে জুয়েল ও সামাদের ছেলে রানার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাদের আড়াই মাস আগে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। ওই মামলায় ওই তিনজন মাদকের মামলায় গত ২-৩ মাস কারাভোগ করে সপ্তাহ খানেক আগে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসেন।
তারা পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় ঘটনায় ওই তিন মাদক ব্যবসায়ী শাহিন আলমকে সন্দেহ করে শাসিয়ে আসছিলেন বলে এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে। এমতবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের রাস্তায় শাহিনকে একা পেয়ে গাছের ডাল ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এসময় এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান। পরে শাহিন আলমকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাবাসি সূত্রে আরো জানা গেছে, সাধারণ মানুষদের কাছে বিভিন্ন সময় পুলিশী মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে গোপনে চাঁদা আদায় করতো। সাধ্যমত টাকা দিতে না পারলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহিনের বিররুদ্ধে।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুন্ড বলেন, শাহিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত কি না বা এলাকায় চাঁদা তুলতেন কিনা জানা নেই। তবে পুলিশের সাথে শাহিনের সখ্যতা ছিল। তিনি এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রæতার জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে কয়েকজনের নাম পেয়েছি। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ঘটনারপর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। আটকের চেষ্টা চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন