আজকের দেশ সংবাদ:
নওগাঁয় অস্ত্রোপচারের সময় আল এখলাস (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অবেদনবিদ ছাড়াই ওই শিশুর গলায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। গত শনিবার রাতে নওগাঁ সদরের মা ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে এ অস্ত্রোপচার করা হয়।
এখলাস জেলার আত্রাই উপজেলার দিঘা উত্তর পাড়া গ্রামের শুকবরের ছেলে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক ও কর্মচারীরা ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে চিকিৎসক আশাফুদ্দৌলা ও ক্লিনিকের পরিচালক শাহ নুরুল ইসলামকে আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় মামলা করেন।
নিহতের পিতা শুকবর জানান, গত শনিবার বিকেলে গলায় টনসিল সমস্যা নিয়ে শিশু এখলাসকে শহরের চকএনায়েত মহল্লায় বেসরকারী মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা: আশাফুদ্দৌলার কাছে নিয়ে আসে তার বাবা শুকবর আলী। ডাক্তারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই ক্লিনিকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি করায় বেলা ৩টার দিকে। টাকা বুঝিয়ে নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অপারেশান করায় ওই ডাক্তার। অপারেশানের পর রোগীর আর জ্ঞান ফিরে নাই। ডাক্তারকে বললে একটু পরে জ্ঞান ফিরবে বলে বিভিন্ন টালবাহানা করে। পরে ডাক্তার ওই রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে তুলে দিয়ে ওই ডাক্তার, ক্লিনিকের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সবাই তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান। নিহত এখলাসের মা কামরুন্নাহার বলেন, ‘অস্ত্রোপচার কক্ষে কোনো অবেদনবিদ ছিলেন না। এ অবস্থায় অজ্ঞান করতে গিয়ে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিকের লোকজনের কানাঘুষা করতে দেখে আমরা বুঝতে পারি, এখলাসের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও ক্লিনিকের লোকজন জোর করে আমার সন্তানকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়। অ্যাম্বুলেন্স কিছু দূর যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন, আপনাদের রোগী মারা গেছে রাজশাহী যেয়ে আর কি করবেন? আমরা আবার নওগাঁয় ফিরে আসি। এরপর আমরা আরও স্বজনদের খবর দিলে তাঁরা সবাই ক্লিনিকে জড়ো হয়।’
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমিত কুমার কুন্ডু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসা অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয় বলে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নওগাঁয় অস্ত্রোপচারের সময় আল এখলাস (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অবেদনবিদ ছাড়াই ওই শিশুর গলায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। গত শনিবার রাতে নওগাঁ সদরের মা ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে এ অস্ত্রোপচার করা হয়।
এখলাস জেলার আত্রাই উপজেলার দিঘা উত্তর পাড়া গ্রামের শুকবরের ছেলে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক ও কর্মচারীরা ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে চিকিৎসক আশাফুদ্দৌলা ও ক্লিনিকের পরিচালক শাহ নুরুল ইসলামকে আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় মামলা করেন।
নিহতের পিতা শুকবর জানান, গত শনিবার বিকেলে গলায় টনসিল সমস্যা নিয়ে শিশু এখলাসকে শহরের চকএনায়েত মহল্লায় বেসরকারী মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা: আশাফুদ্দৌলার কাছে নিয়ে আসে তার বাবা শুকবর আলী। ডাক্তারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই ক্লিনিকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি করায় বেলা ৩টার দিকে। টাকা বুঝিয়ে নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অপারেশান করায় ওই ডাক্তার। অপারেশানের পর রোগীর আর জ্ঞান ফিরে নাই। ডাক্তারকে বললে একটু পরে জ্ঞান ফিরবে বলে বিভিন্ন টালবাহানা করে। পরে ডাক্তার ওই রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে তুলে দিয়ে ওই ডাক্তার, ক্লিনিকের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সবাই তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান। নিহত এখলাসের মা কামরুন্নাহার বলেন, ‘অস্ত্রোপচার কক্ষে কোনো অবেদনবিদ ছিলেন না। এ অবস্থায় অজ্ঞান করতে গিয়ে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিকের লোকজনের কানাঘুষা করতে দেখে আমরা বুঝতে পারি, এখলাসের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও ক্লিনিকের লোকজন জোর করে আমার সন্তানকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়। অ্যাম্বুলেন্স কিছু দূর যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন, আপনাদের রোগী মারা গেছে রাজশাহী যেয়ে আর কি করবেন? আমরা আবার নওগাঁয় ফিরে আসি। এরপর আমরা আরও স্বজনদের খবর দিলে তাঁরা সবাই ক্লিনিকে জড়ো হয়।’
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমিত কুমার কুন্ডু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসা অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয় বলে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন