আজকের দেশ সংবাদ:
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাড়শা গ্রামের বর্গাচাষী শহিদুল ইসলামের দুই বিঘা ও একই গ্রামের কৃষক খাজিম উদ্দিনের তিন বিঘা ধানক্ষেতে রাতের আঁধারে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে তাদের পাঁচ বিঘা জমির ধানগাছ পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। ওই কৃষকদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই মাঠের ধান রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। রাতেরে অন্ধকারে জমিতে আগাছা নাশক বিষ দেয়ায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা এখন রাত জেগে তাদের জমি পাহারা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, গত রবিবার বিকেলে দাড়শা বিলের ধান খেতের পাশ থেকে ঘুরে যাই। জমির ধান দেখে মন ভরে যায়। গত ২ এপ্রিল সোমবার ১১টার দিকে খবর পাই জমির ধান জ্বলে গেছে। রোদের প্রখরতা বাড়ার সাথে সাথে ধানের লালচে রং আরো বেশি করে বোঝা যাচ্ছে। বিকেল ৩টা নাগাদ জমির অর্ধেক ধান গাছ নতুন গজানো ধানসহ পুরোপুরি জ্বলে যায়। বর্গাচাষী শহিদুল ইসলাম জমিতে হাল চাষ, সার, কীটনাশক ও সেচ দেয়া সব কিছুর টাকা খরচ করা হয়েছে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে। ধান ঘরে উঠলে ধান বিক্রি হবে, এনজিওর ঋণ পরিশোধ হবে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে সব শেষ করে দিল। বছরের যে কয়েক মাস বাঁকি রয়েছে সে সময় ছেলে সন্তান নিয়ে দু’বেলা খেয়ে বাঁচব কি করে ? অপর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক খাজিম উদ্দিন বলেন, গত ৪ এপ্রিল বুধাবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে আগাছা নাশক বিষ ছিটিয়ে আমার তিন বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে। শত্রæতা করে কেউ এসব করেছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর আমার বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত মাত্রায় আগাছা নাশক ওষুধ স্প্রে করার ফলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শণ করে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাড়শা গ্রামের বর্গাচাষী শহিদুল ইসলামের দুই বিঘা ও একই গ্রামের কৃষক খাজিম উদ্দিনের তিন বিঘা ধানক্ষেতে রাতের আঁধারে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে তাদের পাঁচ বিঘা জমির ধানগাছ পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। ওই কৃষকদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই মাঠের ধান রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। রাতেরে অন্ধকারে জমিতে আগাছা নাশক বিষ দেয়ায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা এখন রাত জেগে তাদের জমি পাহারা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, গত রবিবার বিকেলে দাড়শা বিলের ধান খেতের পাশ থেকে ঘুরে যাই। জমির ধান দেখে মন ভরে যায়। গত ২ এপ্রিল সোমবার ১১টার দিকে খবর পাই জমির ধান জ্বলে গেছে। রোদের প্রখরতা বাড়ার সাথে সাথে ধানের লালচে রং আরো বেশি করে বোঝা যাচ্ছে। বিকেল ৩টা নাগাদ জমির অর্ধেক ধান গাছ নতুন গজানো ধানসহ পুরোপুরি জ্বলে যায়। বর্গাচাষী শহিদুল ইসলাম জমিতে হাল চাষ, সার, কীটনাশক ও সেচ দেয়া সব কিছুর টাকা খরচ করা হয়েছে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে। ধান ঘরে উঠলে ধান বিক্রি হবে, এনজিওর ঋণ পরিশোধ হবে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে সব শেষ করে দিল। বছরের যে কয়েক মাস বাঁকি রয়েছে সে সময় ছেলে সন্তান নিয়ে দু’বেলা খেয়ে বাঁচব কি করে ? অপর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক খাজিম উদ্দিন বলেন, গত ৪ এপ্রিল বুধাবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে আগাছা নাশক বিষ ছিটিয়ে আমার তিন বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে। শত্রæতা করে কেউ এসব করেছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর আমার বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত মাত্রায় আগাছা নাশক ওষুধ স্প্রে করার ফলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শণ করে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন